সাজ্জাদ হোসেনঃ
বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও দেশীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে বিশেষ ছাড়ে ভর্তি মেলা শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই মেলায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ওয়েভারের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫-১০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার টাকা) ছাড়ে স্প্রিং সেমিস্টারে ভর্তি হতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রোগামগুলোর মধ্যে রয়েছে— সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলবি, এলএলএম, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি এবং জার্নালিজম ও মিডিয়া কমিউনিকেশন।
বর্তমানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ছাত্রী, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ বিশেষ ওয়েভার পাচ্ছেন। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল, করপোরেট এবং গ্রুপভিত্তিক ভর্তি হলেও রয়েছে বিশেষ ছাড়। এসব ছাড়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫-১০ শতাংশ ওয়েভারে চলছে ভর্তি কার্যক্রম। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা গ্রিন ইউনিভার্সিটির শেওড়াপাড়া সিটি ইনফরমেশন সেন্টার এবং পূর্বাচলের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যোগাযোগ করতে পারবেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে। তবে ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহৎ আকারে এর পরিবর্তন আসে। দুই দশকে আগে স্বল্প পরিসরে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা হয়েছিল, কালক্রমে তা এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে নামকরা অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। যার সুবিশাল মাঠ সহজেই সবার নজর কাড়ছে। রয়েছে হোস্টেল সুবিধা, ইনডোর গেমসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগ (সিএসই, ইইই) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে।
গ্রিনই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যারা প্রত্যক্ষভাবে তাদের গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে সহায়তা করছে। ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসহ গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে চাকরি পাচ্ছেন গ্রিনের গ্রাজুয়েটরা। এর বাইরেও গ্রাজুয়েটদের চাকরি সুবিধা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডি)।
গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। মানসম্মত শিক্ষার্থী নিশ্চিত করতে ‘স্টুডেন্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যা চার বছর পর্যন্ত চলতে থাকে।