বিশ্ব ইজতেমা বয়ান শুনে কাটছে মুসল্লিদের দ্বিতীয় দিন

প্রকাশিত: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আমবয়ান ও ধর্মীয় কাজের মধ্য দিয়ে শুরায়ে নেজামের প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন চলছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে গভীর মনোযোগে আম বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা।

আগামীকাল বুধবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ১১টি‌ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকে মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের আশপাশের মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

বুধবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ। সকালে তালিমের মোজাকারা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব।।পরে খিত্তায় খিত্তায় তালিম করা হয়। সকাল পৌনে ১০টায় বয়ান মিম্বারের সামনে ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব। এরপর নামাজের মিম্বারের সামনে মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন পাকিস্তানের মাওলানা ফরিদ সাহেব।

৪০টি খিত্তায় অবস্থান নিয়ে তাবলীগ বিষয়ে মুরুব্বিদের দিকনির্দেশনা শুনছেন ২২ জেলার লাখো মুসল্লি। ইজতেমার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠায় ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা।

আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ব্যতীত টঙ্গি স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।

আগামীকালের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগামীকাল ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত মহাসড়কে আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তবে নিরাপত্তা পর্বের মতোই বলবৎ আছে বলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, গতকাল মোনাজাতের সময় একটি সাধারণ ড্রোনের ধাক্কায় বেলুন ফুটে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই ড্রোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়াতে পারবেন না