বিসিএস এবং প্রশিক্ষণরত এসআই বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চায় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫


নিজেস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২২৭ জন এবং রাজশাহীর সারদায় মৌলিক প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) বাদ দেওয়ার যথাযথ কারণ জানাতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

শিক্ষকদের মতে, জনগণের অংশ হিসেবে এই বাদ দেওয়ার কারণ জানার অধিকার তাদের রয়েছে। সরকারের প্রদর্শিত কারণ গ্রহণযোগ্য না হলে বাদ পড়া প্রার্থীদের পুনর্বহালের পক্ষে সরব থাকবেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষক। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গোড়ার বিষয় ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ এই নীতিতে অবিচল থাকবে। তবে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে ফারাক রয়ে যাচ্ছে এবং জবাবদিহির অভাব প্রকট হয়ে উঠছে।’

গত ২ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২২৭ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষকদের মতে, বিজ্ঞপ্তিতে এই বাদ দেওয়ার যে কৈফিয়ত দেওয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং প্রশাসনিক জবাবদিহির অভাবকে সামনে তুলে ধরেছে।

অন্যদিকে, গত অক্টোবরে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও জাতির উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্যক্তির যোগ্যতা মূল্যায়নে পারফরম্যান্সই প্রধান ভিত্তি হওয়া উচিত। বিসিএসসহ অন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা ও পারফরম্যান্সকে প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক। কিন্তু বর্তমানে পারফরম্যান্সের পরিবর্তে পরিচয়কে গুরুত্ব দিয়ে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে “অযোগ্য” বিবেচনা করার চেষ্টা চলছে, যা বিভেদমূলক এবং অন্যায্য।’

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুশাদ ফরিদী, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, কাজলী সেহরীন ইসলাম, কামাল চৌধুরী, কামরুল হাসান মামুন, জোবাইদা নাসরীনসহ আরও অনেকে। এছাড়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বাধীন সেন, শরমিন্দ নীলোর্মি এবং সাবেক শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, ফাহমিদুল হকসহ প্রখ্যাত শিক্ষকরা এই বিবৃতিতে যুক্ত রয়েছেন।