বিয়ের দিন সকালে ঘুম থেকে ডেকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ের দিন সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি (১৪) নামে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে।
বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজনা এলাকায়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মাদ্রাসা ছাত্রী তারমিনা লোহানীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম তোয়াব আলী। এ ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত বখাটে শাখাওয়াত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , বদরগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা এলাকায় তারমিনা আক্তারের বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয়। আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মৃত মোনায়েম হোসেনের বখাটে ছেলে শাখাওয়াত (১৬) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তারমিনাকে নানাভাবে বিরক্ত করতো। এর মধ্যে বুধবার তারমিনা আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় লোহানীপাড়া ইউনিয়নের গাছুয়াপাড়া এলাকায় আবু সাইদের ছেলে সাকিরুল ইসলামের সঙ্গে। এ ঘটনা জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারমিনার ওপর। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলে ভোরে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে তারমিনার বাড়িতে আসে শাখাওয়াত। তখন ঘুমন্ত তারমিনাকে ডেকে সবার অজান্তে দরজার কাছে ছুরি দিয়ে দুই পা মুখে কপালে ও পাজরে উপর্যুপরি কুপিয়ে আঘাত করেন। তারমিনা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শাখাওয়াত হোসেনকে ধাওয়া দেয়। মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে তারমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের আইনী সহায়তা দেয়া হবে। মেয়েটি বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত।
লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির পরিবারকে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।