নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনের সামনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান-এর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায় অংশগ্রহণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ, মরহুমের পরিবারের সদস্যরাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনগণ। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরের দিকে নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ও ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজনগণ উপস্থিত ছিলেন।

মো. ফারুক হোসেন আরও জানান, জানাযা শেষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এরপর একে একে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষে পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

এবং বাংলাদেশ রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল মরহুমকে অফিসিয়াল ফিউনারেল প্রদান করে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত এসপি নুরুল ইসলাম খান বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গতকাল বুধবার (৭ জুন) ভোরে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি ৫ ছেলে ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।