বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনাকে আপাত দৃষ্টিতে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর।
সদরঘাটের পল্টুনগুলোতে বিআইডব্লিটিউএ নৌপুলিশের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া দুঘর্টনার দৃশ্যটি দেখে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার সকালে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এটা যদি পরিকল্পিত হয় এবং সেটা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।আমরা সঠিক ঘটনা অনুসন্ধান করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘটনা দেখলে মনে হয় এটা পরিকল্পিত। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। বিআইডব্লিউটিএ নিহতদের পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে। প্রতিটি পরিবারে তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য ১০ হাজার করে দেয়া হচ্ছে এবং পরবর্তীতে প্রতি পরিবারে দেড়লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে।
সোমবার সকালে সদরঘাটের শ্যামবাজার পয়েন্টে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ।
নৌপুলিশের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া দুঘর্টনার দৃশ্যতে দেখা যায়, সকাল ৯টা ১২মিনিটে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কুমিল্লা ডক এরিয়ায় ঘাট থেকে পেছন দিকে (ব্যাকে) যাচ্ছিল ময়ূর-২। এ সময় পেছনে থাকা মুন্সিগঞ্জ কাঠপট্টি থেকে আসা যাত্রীবোঝাই ‘মর্নিং বার্ড’ এর ওপর উঠে যায় দৈত্যাকার ময়ূর-২। মুহূর্তেই তলিয়ে যায় লঞ্চটি।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
তবে ৩২ জনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আটজন নারী, তিনজন শিশু এবং ১৯ জন পুরুষ রয়েছেন।