
ক্রীড়া ডেস্ক:
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে অল্প সময়ের জন্য বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে দ্বিতীয় দিনের খেলা হয়েছে নির্বিঘ্নে। তবে তৃতীয় দিনের সকালেই আবারও হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তাই নির্ধারিত সময়ে বল মাঠে গড়ায়নি। বৃষ্টির কারণে প্রথম সেশন ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে বাজে ব্যাটিংয়ের মাশুল দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল টাইগাররা।
৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন সাদমান। ওভারের চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন মুজারাবানি। ইনসুইং করে ভেতরের দিকে আসা বলে ডিফেন্স করতে যান সাদমান, তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা শন উইলিয়ামস ভুল করেননি। ৪ রান করে সাদমান ফেরায় ভাঙে ১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্রুত সাদমানকে হারানোর অর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার এদিন কোনো সুযোগ দেননি। তবে আরেক ওপেনার জয়, ভাগ্যের কারণেই অপরাজিত থেকেছেন। উইকেটের পেছনে তার সহজ ক্যাচ ফেলেছেন মায়াভো। জীবন পেয়ে ইনিংস লম্বা করার চেষ্টা করছেন এই তরুণ ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রান তুলেছেন জয় ও মুমিনুল। তবে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাই আগামীকাল সকালে কঠিন সময়ের অপেক্ষা করছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য।
এর আগে গতকাল সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশিদের ব্যাটিং শিখিয়েছিলেন দুই রোডেশিয়ান ওপেনার। তাতে কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই দিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে।
আজ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। পাশাপাশি স্পিনাররাও ভালো বোলিং করেছেন। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ডানহাতি অফ স্পিনারের ফাইফারে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে থামায় বাংলাদেশ।