নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টাইগারদের ইনিংসে দুবার বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। আফগানিস্তান ৮৩ রান করার পর আবার বৃষ্টি হানা দেয়। বৃষ্টি না থামায় ডিএল মেথডে জয় পেয়েছে সফরকারী দল। ২১.৪ ওভারে ৮৩ রান তুলতে ২ উইকেট হারায় তারা। বৃষ্টি আইন অনুযায়ী রশিদ খানরা এগিয়ে ছিল ১৬ রানে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৪ রানের সহজ লক্ষ্যে আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদের করা প্রথম চার ওভারে অবশ্য মাত্র ১০ রান তুলতে পারে আফগানরা।
এরপর রানের গতি কিছুটা বাড়ে। উইকেট না হারিয়ে নিরাপদেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিলেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহীম জাদরান। তবে আফগানদের দলীয় ৫৪ রানে টাইগারদের প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান।
বোলিংয়ে আসার পর থেকেই দুই ওপেনারকে অস্বস্তিতে রাখছিলেন সাকিব। অবশেষে তিনি সফলও হন। তার বলে সামনে এগিয়ে লেগ স্কয়ারে খেলতে গিয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ নাজমুল শান্তর তালুবন্দি হয়েছেন। ৪৫ বলে তিনি করেছেন ২২ রান।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় সাফল্য পেতেও দেরি হলো না। ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রহমত। কিন্তু ২০তম ওভারে তাকে প্রথম স্লিপে লিটনের ক্যাচ বানিয়েছেন তাসকিন। তাতে সফরকারীরা একটু চাপে পড়ে।
এর আগে আফগান বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। আনফিট তামিম ব্যক্তিগত ১৩ রান করে বিদায় নেন ফজলহকের বলে। দলীয় ৬৫ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার লিটন দাস। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করেন তিনি।
ওয়ান ডাউনে নেমে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ নবীর বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়ার আগে করেন ১২ রান। ষোলোতম ওভারের প্রথম বলের পরেই বৃষ্টি নামে। সে সময় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি শুরুর আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান সংগ্রহ করেছিল টাইগাররা।
এরপর ১১২ রান তুলতে আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর সাকিব ও তাওহিদ হৃদয় মিলে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন সাকিব।
৩৫ বলে ১৪ রান করেন সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর টিকতে পারেননি মুশফিকও। ৪ রান করে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান আফিফ। আর ৫ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজকে এলবিডব্লিউ করেন ফজলহক। ৩৪.৩ ওভারের সময় ফের বৃষ্টি হানা দেয়। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে হয় ৪৩ ওভার।
বৃষ্টির পর বাংলাদেশ তুলতে সক্ষম হয় আর মাত্র ২৫ রান। তাসকিন ৭ রান করে আউট হন মুজিবের ওভারে। হৃদয় ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফারুকীর বলে। শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদ ৮ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।