বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত নয় ছাত্রদল

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫

বন্যা আক্তার:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানালেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনই নির্বাচন চাচ্ছেন না। তারা বলছেন, আওয়ামী দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসংসদ নির্বাচন হতে পারে না।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৫ তারিখের মধ্যে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি পেশ করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল যে, ছাত্র সংসদের আগে বেরোবিতে অন্য কোনো নির্বাচন নয়। লেজুরবৃত্তিক যেকোনো ছাত্র রাজনীতির কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলে শাস্তির বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং তা সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পাস করতে হবে।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের এই দাবি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইলে একাধিক পোস্ট করেন। একটি পোস্টে লিখেছেন— ‘যারা ক্যাম্পাসকে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন কেন্দ্র বানিয়েছে, তাদের কথায় ছাত্রসংসদ নির্বাচন হবেনা।’ অন্য পোস্টে লিখেছেন— বাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, নিজেদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে ব্যবসা করা বিতর্কিতদের দাবিতে ছাত্রসংসদ হতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কর্মী ইয়ামিন বলেন, আমরা অবশ্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই, যেটা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও আমরা চেয়ে আসছি, কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন পাইনি। তবে বর্তমান সময়ে কিছু ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট সুবিধাভোগী সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত সময়ে নির্বাচন চাচ্ছে। আমরা চাই একটা যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হোক। শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিচার দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন (ছাত্র সংসদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী) বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে না। বিচারের আগে নির্বাচন হলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে। আমরা তাদের পুনর্বাসন হতে দেবো না।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম বলেন, আমরা এখন ছাত্রসংসদ নির্বাচন চাচ্ছি না এমনটা না, আমরা চাচ্ছি। ক্যাম্পাসে এখনো ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।একটি স্বার্থন্বেষী মহল তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য পায়তারা করছে। যাদের মূল লক্ষ্য হলো আওয়ামী দোসরদের আশ্রয় দেওয়া। আমরা চাচ্ছি আগে আবু সাইদের হত্যাকারীদের বিচার হোক, তারপর নির্বাচন হবে।