বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৪

বেনাপোল প্রতিনিধি:

টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এর আগে গত তিনদিন ধরে এ বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশের সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ রাখে ভারত।

বুধবার দিনভর বেনাপোল বন্দর পরিচালক, কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্ট নেতারা পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালুর জন্য অনুরোধ জানান। এরপর পেট্রাপোল কাস্টমস, বন্দর ও সিএন্ডএফ এজেন্ট বুধবার বিকেলে যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশে তাদের পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় চালু হয় ব্যস্ততম এ বন্দরের কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সোমবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের পেট্রাপোল সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ করপোরেশন (সিডাব্লিউসি) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পাঠায়নি। বুধবার উভয় দেশের যৌথ সভার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরের কাজও চলছে স্বাভাবিকভাবে।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনদিন ধরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বুধবার বিকেলে স্থানীয় ও ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তারা আমদানি-রপ্তানি চালুর কথা জানানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। যা এখনো চলমান। বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড চলছে। অনেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে প্রায় ৪০০-৪৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং বাংলাদেশ থেকে ২০০-২৫০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।