বৈদ্যুতিক গোলযোগে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সূত্র বলছে, বিজয় সরণি এলাকায় মেট্রোরেল বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন থেকে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকার মেট্রোরেল পরিচালনায় নিয়োজিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই ট্রেন চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বিজয় সরণি সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শাহবাগ থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল চলাচলের সুযোগ নেই। ফলে পুরো পথেই মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।

মেট্রোরেলে দুভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। ডিএমটিসিএল সূত্র আরও জানায়, স্টেশনের বাতি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য কাজ চালানো হয় অক্সিলারি বা সহযোগী বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে। আর বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে মেট্রো ট্রেন চালানোর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিজয় সরণিতে মূল লাইনেই সমস্যা হয়েছে, যা দিয়ে ট্রেন চালানো হয়।

মেট্রোরেল পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো একটি সাবস্টেশন থেকে সাধারণ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে অন্য সাবস্টেশন থেকে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরবরাহ করা হয়। এতে মেট্রোরেলের চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটে না। কিন্তু কোনো অস্বাভাবিক কারণে, অর্থাৎ কারিগরি ত্রুটি কিংবা সার্কিট পুড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে অন্য সাবস্টেশন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না। কারণ, এতে বড় দুর্ঘটনা বা অন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য অস্বাভাবিক কোনো কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তা স্বচক্ষে দেখে পুনরায় চালু করা হয়।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেছেন, বিজয় সরণি সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন বন্ধ হয়ে গেছে তা দেখতে কর্মকর্তারা সেখানে গেছেন। স্বচক্ষে দেখার জন্য কর্মকর্তাদের সড়ক পথে উত্তরা ডিপো থেকে আসতে হয়। এ জন্যই কিছুটা সময় লাগে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েকটি স্টেশনে টিকিট ফেরত নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। কিছু স্টেশনের মূল ফটকও বন্ধ রাখা হয়েছে।

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মিরপুর যাওয়ার জন্য কারওয়ান বাজার স্টেশনে ছিলেন কামরুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কখন ট্রেন চালু হতে পারে, সেই বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।