বোনের অভিযোগে সাড়ে তিন মাস পর কবর থেকে তোলা হলো ভাইয়ের মরদেহ

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি যশোর

‘স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, আসামিরা সম্পত্তির লোভে হায়দার আলীকে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে হায়দার আলীকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করান আসামিরা। ফলে হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করেন।’ বোনের এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দাফনের তিন মাস ২০ দিন পর হায়দার আলীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। হায়দার আলী চৌগাছা উপজেলার মাকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত খান ও চৌগাছা থানার এসআই মাহফুরুর রহমানের উপস্থিতিতে উপজেলার মাকাপুর পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর হায়দার আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু ২৭ ডিসেম্বর হায়দার আলীর বোন হামিদা বেগম হায়দার আলীকে হত্যার অভিযোগে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন।

মামলার বাদী হামিদা বেগম বলেন, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা করেছি। আমি সঠিক বিচার চাই।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত খান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে হায়দার আলীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মাকাপুর গ্রামের হায়দার আলী পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে সাড়ে ১৩ একর জমির মালিক ছিলেন। ওই জমি আসামি মর্তুজা রাসেল তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য তার বাবার ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর চৌগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাবা হায়দার আলীকে আসামি মর্তুজা হেফাজতে নেন। এরপর আসামিরা মর্তুজার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন হায়দার আলীকে। ওই জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হয়ে আসামিরা হায়দার আলীকে ওষুধের মাধ্যমে মৃত্যুর জন্য অসুস্থ করে ফেলেন। একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।