ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লাশ গুম : স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় ১০ বছর আগে টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে সদরঘাটের কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল হাসানকে হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে সোহেল রানা এবং তার স্ত্রী রুমা আক্তার ওরফে সুমনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

এছাড়া হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

 

রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজির হন। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভিকটিম তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা পেত। টাকা যেন না দিতে হয় এজন্য তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

জানা গেছে, ভিকটিম কামরুল হাসানকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে তার খালা অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। আদালত মামলাটি পল্টন থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে পল্টন থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সেই অভিযোগপত্রে নারাজি দাখিল করেন রেহানা পারভীন। পরে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক হারুনর রশীদ তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে কামরুল হাসানকে খুন করে লাশ ঘুমের রহস্য উঠে আসে। ভিকটিমের লাশ খণ্ডখণ্ড করে বস্তায় ভরে বিলের মধ্যে ফেলে দেয় তারা।

২০১৮ সালের ৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, দণ্ডিত সোহেল রানা ২০২৩ সালে রাজধানীর উত্তরার ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।