ক্রীড়া ডেস্ক:
তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের মধ্যে ভালো একটা বোঝাপড়া ছিল। সেটেলড জুটি বলতে যা বোঝায়, তাই। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের মতে, তামিম-লিটনের কারণেই গত আট বছর ব্যাটিং ভালো করেছে বাংলাদেশ। মূলত এ দুই ওপেনার বেশির ভাগ ম্যাচে ভালো একটা শুরু দিতেন। একজন দ্রুত আউট হলেও অন্যজনকে লড়াই করতে দেখা গেছে।
গত দেড় বছর ধরে ওপেনিং জুটি থিতু হতে পারেনি। তানজিদ হাসান তামিমকে টানা সুযোগ দেওয়ার পরও ভালো করতে পারছেন না। ওয়ানডে ও টি২০ বিশ্বকাপে রীতিমতো ব্যর্থ। তবুও ভবিষ্যতের আশায় তাঁকে নিয়মিত সুযোগ দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। লিটন কুমার দাস না থাকায় সৌম্য সরকারের জুটিতে ছিলেন তানজিদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তিনি ফেল করলেও আশা করা হচ্ছে আজ জুটি গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। কারণ, জিততে হলে টপঅর্ডারে ভালো করা জরুরি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাই ব্যাটারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ১২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত ভালোই খেলছিলেন। সৌম্য বাউন্সার বলে ভুল শট খেলে আউট না হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। শান্ত টিকে থাকলেও হতো। সেট জুটি আউট হওয়াতে ব্যাটিংয়ে ধস নামে। মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হতাশ করে উইকেট বিসর্জন দেন। অখ্যাত এক অফস্পিনার গজনফরের কাছে হের যান খ্যাতিমান সব ব্যাটার।
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে মিরাজের বক্তব্য হলো, ‘যখন আমি ও শান্ত ব্যাটিং করছিলাম, তখন আমাদের দুইজনের কাছে উইকেট সহজই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ২০ ওভার পর বল যখন একটু নরম এবং পুরোনো হয়েছে, তখন হঠাৎ করে টার্নিংটা শুরু হয়েছে, একটু বেশি। মাঝে আমি আর শান্ত ধুঁকছিলাম ব্যাটিংয়ে, আমরা সেট ব্যাটার থাকাকালে। আমরা দুইজন যেভাবে সেট ছিলাম, আমাদের দুইজনের ভেতরে একজনের শেষ করা উচিত ছিল। কারণ আমি শান্তকে বারবার বলছিলাম, এই উইকেটে আমাদের দুইজনের যেহেতু খেলতে সমস্যা হচ্ছে, পরের ব্যাটারদের জন্য অনেক কঠিন হবে।’ একই মাঠে সিরিজের বাকি দুই ওয়ানডেও চ্যালেঞ্জিং হবে। এই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারলেই ভালো করা সম্ভব হবে।
লিটন না থাকায় এ ম্যাচেও সৌম্য-তামিমকে দেখা যেতে পারে ওপেনিং জুটিতে। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী মিরাজ, মাহমুদউল্লাহদের প্রস্তুত থাকতে হবে দলের হাল ধরতে। ব্যাটাররা ভালো করতে না পারলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে। শারজাহর উইকেটে আগে ব্যাট করার একটা ব্যাপার থাকে। এ ক্ষেত্রে শান্তর টস জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আগে ব্যাটিং পেলে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ থাকে। সিরিজ বাঁচাতে হলে অলআউট ক্রিকেট খেলার কোনো বিকল্প নেই।
মিরাজ নিজের অলরাউন্ডার সত্তাকে জাগিয়ে তুলতে চান, ‘যেহেতু আমাদের পেস বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। খুব দ্রুত পাঁচটা উইকেট নিয়েছে। মাঝের ওভারগুলো ভালো করিনি। শতরানের একটা জুটি হয়েছে। আমি মনে করি, বোলিংয়ের দিক থেকে পেসাররা খুবই ভালো করেছে। আমার কাছে দল উইকেট চায়। কারণ, আমার ভূমিকা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি উইকেট নিতে পারলে এবং রান করতে পারলে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়।’