ভলকার তুর্কের মন্তব্য নিয়ে যা বলল সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

গতকাল সোমবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘হার্ডটক’-এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভলকার তুর্কের মন্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার হয়। সেনাবাহিনী মানবাধিকারের তাৎপর্য যথাযথভাবে মূল্যায়ন এবং যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। অধিকতর স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্যের কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার থেকে এ বিষয়ক কোনো ইঙ্গিত কিংবা বার্তার বিষয়ে অবগত নয়। যদি এ বিষয়ক কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়। সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ভলকার তুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি ও এর পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কোনো পক্ষপাত বা বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করে। দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেনাবাহিনীর ভূমিকা-সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে উদ্বেগ অথবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে।