ভাগ্নেকে দিয়ে কেয়ারটেকার সাজালো ডাকাতির নাটক

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৩

 

মো. সাইফুল ইসলাম :
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ থানার জে এন সাহা রোডের একটি বাসায় এক অভিনব ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাসার কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, বাড়িটির কেয়ারটেকার ওমর হারুন (৪০) দীর্ঘদিন ধরে বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ১২ জুন নিজের কিশোর ভাগ্নে এবং ভাগ্নের এক বন্ধুকে দিয়ে ডাকাতির নাটক সাজান কেয়ারটেকার নিজেই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে যান হারুন ও তার ভাগ্নেরা। গ্রেফতাররা হলেন- বাসার কেয়ারটেকার মো. ওমর হারুন (৪০) এবং তার ভাগ্নে রহিম (১৬) ও ভাগ্নের বন্ধু সিয়াম (১৬)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে লালবাগে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন।

তিনি বলেন, পুরান ঢাকার লালবাগ থানার জে এন সাহা বাড়ির বাসিন্দা ডা. খাদিজা নুরুন নাহার নামের এক নারী অভিযোগ করেন, ১২ জুন সকালে নিজের বেডরুমে বসে পত্রিকা পড়ছিলেন। এসময়ে মুখ গামছায় ঢাকা দুই ব্যক্তি তার রুমে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন, হাতের ঘড়ি, মোবাইলসহ প্রায় ১১ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

ডিসি জাফর বলেন, মামলা দায়েরের পরে তদন্তে নেমে কেয়ারটেকার হারুনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ডাকাতির নাটকের আদ্যোপান্ত।
কেয়ারটেকার হারুন পুলিশকে জানায়, ডা. খাদিজার বাসায় নিয়মিত যাতায়াতের ফলে সে জানতে পারে বাসায় মোটা অঙ্কের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। এ তথ্যে লুটের পরিকল্পনা করেন। এরপর গ্রামের বাড়ি থেকে তার কিশোর দুই ভাগিনাকে গত ১১ তারিখ ঢাকায় আনেন। ১২ তারিখ ডাকাতি শেষে সব টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিজের রুমে রেখে দেন।

হারুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার বড় মগবাজার এলাকা থেকে মো. রহিম (১৬) ও ভোলা সদর থানার মুসলিম পাড়া এলাকা থেকে সিয়ামকে (১৬) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার বাদীর বাড়ির নিচতলা থেকে ডাকাতি করে নেওয়া মালামাল ও ভুক্তভোগী নারীকে জিম্মি করতে ব্যবহার করা চাপাতিটিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন বলে জানান লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন।