‘ভাঙা নাক’ নিয়েই পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে চান এমবাপ্পে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
খেলাধুলা ডেস্ক:
গ্রুপ ডি’য়ের সমীকরণ মেলাতে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড। এ ম্যাচে এক পয়েন্ট পেলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হবে ফরাসিদের। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে বড় জয়ের পাশাপাশি পোলিশদের কামনা করতে হবে নেদারল্যান্ডসের কাছে অস্ট্রিয়ার হার। দুটো ম্যাচই শুরু রাত ১০টায়। ফরাসি শিবিরে এদিন কিলিয়ান এমবাপ্পের ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ দিদিয়ে দেশম।
ডর্টমুন্ড থেকে প্যাডারবর্ন। দূরত্বের হিসেব একশ কিলোমিটারের বেশি। তবুও দলকে নির্ভার রাখতে পোল্যান্ড ম্যাচের আগে রুদ্ধদ্বার অনুশীলনের জন্য ফরাসিরা বেছে নিয়েছে বেন্তেলা অ্যারেনাকেই।
অনুশীলনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বরাদ্দকৃত সময়ের অনেকাংশ জুড়েই ক্যামেরার লেন্স ছিল রিয়াল তারকাএমবাপ্পের দিকে। প্রশ্ন আগের মতোই বিশ্রাম নাকি গুরুত্বের বিচারে এ ম্যাচে একাদশে ফিরছেন এই ফরোয়ার্ড? অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে একটি আত্মঘাতী গোলে জেতা ম্যাচে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে নাকে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। পরে ফ্রান্স জানায়, নাক ভেঙে গেছে তার। কদিন ধরেই তার মাঠে ফেরা নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা গুঞ্জন। মাস্ক পরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলেন এমবাপ্পে, কিন্তু সেদিন তাকে খেলাননি ফ্রান্স কোচ। তবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে তার খেলার বিষয়ে দিয়েছেন ইতিবাচক ইঙ্গিত।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিদিয়ে দেশম বলেন, ‘দিন দিন সে (এমবাপ্পে) আরও ভালো হয়ে উঠছে। অস্বীকার করব না, সে আগামীকাল (মঙ্গলবার) খেলতে খুবই আগ্রহী; যেমনটা সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ছিল। কিলিয়ান থাকলে, আমি মনে করি, সেটা আমাদের গোল করতে এবং জয় পেতে সাহায্য করবে। নিশ্চিতভাবেই কিলিয়ানকে ফিরে পাওয়াটা অনেক বড় বিষয়।’
হিসেব বলছে এ ম্যাচে মোটে এক পয়েন্ট পেলেই শীর্ষ-১৬ নিশ্চিত হবে ফ্রান্সের। হারলেও যে বাদ হিসেবটা তেমন নয়। তবে জিতলে থাকবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ান সমীকরণ।
অন্যদিকে দুই ম্যাচে দুটোতেই হার। ‘ডি’ গ্রুপের তলানিতে থাকা পোল্যান্ডের টুর্নামেন্টে টিকে থাকার রাস্তাটা কঠিন। একে তো বড় ব্যবধানে জিততেই হবে, সঙ্গে আছে নানা হিসাব-নিকাশ। আগের ম্যাচে সাবস্টিটিউড হিসেবে খেললেও ডু অর ডাই ম্যাচে পোলিশদের হয়ে শুরুর একাদশেই ফিরছেন দলের বড় তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কি। সেক্ষেত্রে চিরচেনা ৩-৫-২ ফর্মেশনেই দলকে খেলাতে পারেন মিখাউ ফ্রোবিয়েজ। ফ্রান্সকে পোল্যান্ড সবশেষ হারিয়েছিল তাও পার হয়েছে ৪২ বছর। সব মিলিয়ে দু’দলের ১৭ সাক্ষাতে মোতে তিনবার জয় পোলিশদের।
এই দিন একই সময় একই গ্রুপের সব হিসেব জমিয়ে তুলতে পারে নেদারল্যান্ডস অস্ট্রিয়া ম্যাচ। যেখানে কোন দলই বিনা যুদ্ধে নাহি দেবে সূচাগ্র মেদিনী।
এবারের ইউরোতে অস্ট্রিয়ার ফুটবল কৌশল মুগ্ধ করবে যে কাউকে। ফ্রান্সের বিপক্ষে হারলেও ৫২ শতাংশ বলের দখল আর গোলবারে তাদের ছিল ৬টা শট। পোল্যান্ডকে একরকম তো উড়িয়েই দিয়েছে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটে বস র্যাল্ফ র্যাগনিক শিষ্যরা। ছোট দলের বড় তারকা ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড মার্কো আরনাওতোভিচ। টার্নার, ক্রিস্তোব কিংবা বরুশিয়ার সাবিটজার। সবাই ইউরোপের ফুটবলের পরিচিত মুখ।
অন্যদিকে দারুণ ফর্মে আছে নেদারল্যান্ডসও। সবশেষ আট ম্যাচে তারা হেরেছে মোটে একটায়। এ সময় প্রতিপক্ষে জালে ডাচরা দিয়েছে ২৩ গোল।
এ ম্যাচেও দেখা মিলতে পারে অভিন্ন একাদশের। কোডি গাকপো, মেম্ফিস ডিপেই আর ফ্রিংপং। এ তিন সেনানীকে নিয়ে আক্রমন ভাগ সাজাবেন রোনাল্ড কোম্যান। ডিফেন্স লাইনে অভিজ্ঞ ফন ডাইক, নাথান একি, স্টেফেন ডি ভার্জি। সব মিলিয়ে এক জমজমাট ম্যাচের অপেক্ষা।