দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী মিত্র দেশসমূহকে সহযোগিতায় সেখানে ৪ টি সশস্ত্র যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে ভারত। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমন, শান্তিপূর্ণভাবে বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের চলাচল এবং মিত্র দেশসমূহকে সহযোগিতায় মিসাইল বিধ্বংসী প্রযুক্তি ও ফ্রিগেট মিসাইল সমৃদ্ধ চারটি যুদ্ধজাহাজ সেখানে পাঠানো হয়েছে। আগামী দু’মাস এই জাহাজগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দেবে।’
‘আমাদের বিশ্বাস, দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর সাধারণ স্বার্থ রক্ষা ও আন্তর্জাতিক জলপথসমূহে জাহাজ পরিচালনা বিষয়ক স্বাধীনতা নিয়ে বর্তমানে যে আলোচনা চলছে, তাকে আরও এগিয়ে নেবে নৌবাহিনীর এই সাম্প্রতিক মিশন।
মিশনের অংশ হিসেবে চলতি বছর প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম উপকূলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় ভারত অংশ নেবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে নৌ বাহিনী।
গত প্রায় দু’ বছর ধরে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে অন্যায়ভাবে চীন দখলদারিত্ব বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে এই সাগরের উপকূলবর্তী দেশ জাপান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তিক্ত কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে এই অভিযোগ। বেইজিং যদিও বলে আসছে, চীন কেবল দক্ষিণ চীন সাগরে নিজের সীমানাভূক্ত এলাকার নিরাপত্তা বিধান করছে এবং অন্যদেশের জলসীমা দখলের কোনো অভিপ্রায় চীনের নেই, তবে বেইজিংয়ের এই বক্তব্য ইতোমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
গত জুনে দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রিগান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়মিত মিশনের অংশ হিসেবে এই জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রের সীমানা নিয়ে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ব্যাপক দ্বন্দ্ব চলছে ভারতের। কাশ্মিরের কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে চীন এবং এই ইস্যুতে গত বছর জম্মু ও কাশ্মিরের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন উভয় দেশের প্রায় ৪০ সেনা সদস্য।