ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে ঝুলছে তালা, একাধিক অভিযোগে পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি:

রাজনৈতিক প্রভাব, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নীলফামারী সদরের উত্তর চওড়া বড়গাছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায়ের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশ শেষে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কলেজ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে।
সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজে দলীয়করণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, অতিরিক্ত ফি আদায়, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ অনলাইনে তথ্য হালনাগাদের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন ওই অধ্যক্ষ।
বক্তারা অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কলেজ মাঠে সরকারি অর্থে মাটি ভরাটের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ধীমান রায়।’

কলেজের প্রভাষক পিনাকী রঞ্জন রায় বলেন, ‘মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সিনিয়র শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষকের পদোন্নতি দিয়েছেন তিনি (ধীমান রায়)। দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে কূটকৌশলে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে তিন বছর ধরে অবৈধভাবে আধিপত্য বিস্তার করে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।’

স্থানীয় এক অভিভাবক গোলাম সারওয়ার ভুট্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কলেজটিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন ধীমান রায়। তিনি অনিয়ম করে নিজের ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। তাকে সরানো না হলে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।’

এ বিষয়ে উত্তর চওড়া বড়গাছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধীমান রায় বলেন, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে এসব ভিত্তিহীন, বানোয়াট। আমার কাছ থেকে সুবিধা না পেয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামিয়েছে তারা। এতে চাকরি গেলে যাবে কোনও আপত্তি নেই।’

এ ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় কুমার রায়কে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিয়েও না পাওয়ায় তার কোনও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।