ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৩

লালমনিরহাট ও ডিমলা প্রতিনিধি:

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে। এতে চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বাড়তে থাকে। আজ শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। এরপর দুপুর ১২টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ আরও কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেত। সবমিলিয়ে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ছবি : সংগৃহীত

তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমণীগঞ্জ, সিঙ্গিমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ি, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী ও চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙনপ্রবন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমকে বলেন, আবারও পাানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ঈদের আগে জেলার বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলোতে ৩০০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।