ভিসির পদত্যাগের দাবিতে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ, কার্যালয়ে তালা

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৭ আগস্ট নোবিপ্রবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্টদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবিসহ চার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়করা।

এরমধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নোবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাইমেনুল ইসলাম, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. রুহুল আমিন, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তী বড়ুয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মহিনুজ্জামান।
এ ছাড়াও শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় ছাত্র-শিক্ষকসহ সব রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে নামফলক থেকে নাম সরিয়ে নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর, ভিসি বাসভবন, প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতিবাদস্বরূপ তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং পাশাপাশি উপাচার্যের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে ফেলে।

নোবিপ্রবির সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন  বলেন, আপনারা জানেন—এই খুনি প্রশাসন নির্লজ্জের মতো। তাদের ছাত্রসমাজ ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়ার পরও তারা নির্লজ্জের মতো পদত্যাগ করেননি। আমরা ছাত্রসমাজ তাদের দেখে নেবো। আমরা বলতে চাই, শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে ভিসি ও অন্যান্যরা যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা তাদের অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কার ঘোষণা করবো।
নোবিপ্রবির আরেক সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, ভিসি ও অন্যান্যরা যারা এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য অনলাইন ক্লাসের মতো এই হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অন্যায় ও অবিচার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করবো এবং আপনারা কেউ কারও প্ররোচনার শিকার হবেন না। যদি শিকার হন তাহলে আপনাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বয়কট করবে।