ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাটি সীমান্তবর্তী উপজেলা এই উপজেলার সীমান্ত কোল ঘেঁষে ও উপজেলার উপর দিয়ে একাধিক নদী বহমান রয়েছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ, ভৈরব, বেতনা, কোদলা, ইছামতী, করতোয়া উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘদিন এই সকল নদী গুলো খনন বা সংস্কার না হওয়ায় কারণে ভরাট হয়ে গেছে। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুরা দখলবাজ অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাদবপুর, বাঁশবাড়িয়া,কাজিরবেড় ইউনিয়নে বেতনা,কোদলা ও ইছামতী নদী দখল করে বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। অতি বর্ষণের সময় পানির প্রভাব বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় কারণে মাঠ ঘাট ডুবে কৃষকের ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে হুমকির মুখে পরিবেশ। স্বরুবপুর ইউনিয়নের দত্তনগর বাজারে করতোয়া নদী দখল করে পাকা ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছে এক শ্রেণির দখলবাজরা।
স্থানীয়রা জানান, করতোয়া নদী এখন খালে পরিণত হয়েছে। স্বরুবপুর,শ্যামকুড়,নেপা ইউনিয়নে ইছামতী নদীর পাড় দখল করে চাষ করা হচ্ছে। উপজেলার মহেশপুর খালিশপুর শহরের কোল ঘেঁষে কপোতাক্ষ নদ দখল করে ঘর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। যাদবপুর বাজারের পাশ দিয়ে বেতনা নদী ভারতের মধুপুর চলে গেছে এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ বিভিন্ন ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে পুকুর খনন করেছে। এ সকল কারণে বর্তমানে মহেশপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো এখন মৃত প্রায়।
মহেশপুর নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি এটিএম খাইরুল আনাম জানান, নদীগুলো অবৈধ দখলদারদের কদল থেকে উদ্ধার করে সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার জানান, ইতোমধ্যে নদী দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিত্রা নদীর উচ্ছেদের কাজ শুরু হবে। এর পর মহেশপুর নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হবে।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অচিরে এ সকল দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে ইতোমধ্যে কালিগঞ্জ চিত্রা নদীর উচ্ছেদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।