ভৈরবে কুকুরের কামড়ে আ. লীগ নেতাসহ ৩৫ জন আহত

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৪

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শহরের বেওয়ারিশ একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে বুধবার (১৯ জুন) দিন ও রাতে এলাকায় কুকুর ৩৫-৪০ জনকে কামড়ে আহত করেছে। বুধবার রাত পর্যন্ত ভৈরবে পৌর শহরের নাটালের মোড়, ঘোড়াকান্দা, পঞ্চবটী, ভৈরবপুর, ফেরিঘাট ও চন্ডিবের এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে পাগলা কুকুরের কামড়ে রিকশাচালক, মোটরসাইকেল ও পথচারী স্থানীয় বাসিন্দাদের কামড়ে আহত করে কুকুরটি। এ সময় স্থানীয়রা কুকুরটি আটক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা যায় ।

আহতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা রুবেল, কাইসার, লাইছ মিয়া, আবুল কাশেম, মনির হোসেন, আসাদ, হোসেন আলী, আরমান, তৌহিদ, আবুবকর সিদ্দিক, রাব্বি, সাব্বির, শহিদুল্লাহ, সানি, সূর্য ও মানিকসহ আরও অনেকে।
ভৈরবপুর এলাকার মনির হোসেন বলেন, আমি বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি হঠাৎ করে কুকুরটি কোথায় থেকে দৌড়ে এসে আমার পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর অনেক চেষ্টা করেও কুকুরটি ধরতে পারেনি। এলাকার লোকজনও কুকুরটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ভৈরবে প্রায় ৩৫-৪০ জনকে কামড়ে আহত করেছে শুনতে পেরেছি।

স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব শহরের ওইসব এলাকার পথচারীদের আচমকা কামড়াতে থাকে কুকুরটি। তখন লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরটিকে তাড়া করলে, আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঢুকে নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের কামড়াতে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহাম্মদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত আমার এখানে ৩৪ জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। তবে আজকে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী আসেনি। তিনি আরও বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে সাধারণত প্রত্যেককে ভ্যাকসিন ও আইজি দিতে হয় ৫টি করে। তবে যারা আক্রান্ত বা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করছি। ভ্যাকসিন নিয়ে সবাই বাড়ি চলে গিয়েছে।

ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, এই ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই বিষয়ে অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর মারার অধিকার পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। তবে স্থানীয় জনতা যদি পাগলা কুকুরটিকে মেরে ফেলে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। এছাড়া যারা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা দিতে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে অনুরোধ করেছি। চিকিৎসায় কারো সহযোগিতা লাগলে সে ব্যবস্থা আমি করব।