ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সরকারি গাড়ি ভাঙচুর, উপসচিবসহ আহত ৬
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে এক চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সমর্থকরা তিনটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় হামলায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা উপসচিবসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু আউয়াল, ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাদেরুল ইসলাম, উপ-সচিবের সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, গাড়িচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, আটোয়ারী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক বুলু মিয়া ও গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল বারী। আহতদের দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দেবীগঞ্জের শালডাঙ্গা ইউনিয়নের দামানিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিঠুন রায় (৩২) ও দীনবন্ধু রায় (৩৩) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। জড়িতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ভোট গণনার পর ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় ভোটের ফলাফল দেরি হওয়ায় চেয়ারম্যানপ্রার্থী মদন মোহন রায়ের সমর্থকরা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত উপসচিব আবু আউয়ালসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় উপসচিবের ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে তারা। পরে বিজিবি ও পুলিশসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। রাস্তায় গাছ ফেলে গতিরোধ করে ইটপাটকেল ছুড়ে। ভাঙচুর করা হয় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও।
এদিকে ফলাফলে দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মদন মোহন রায় ৩৪ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭০৩ ভোট।দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা বলেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রশাসনের লোকজনের ওপর হামলাসহ তিনটি সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা দুজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবিসহ আমাদের লোকজন সর্বোচ্চ সহনশীলভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী সামান্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।