ভোরের কম্পনে ঘুম ভাঙলো দিল্লির, শঙ্কা-আতঙ্কে রাস্তায় দিল্লিবাসী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

ডেস্ক রিপোর্ট:
ভোরের আঁধারে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার পরপরই জোরালো ঝাঁকুনির অনুভবে জেগে ওঠে দিল্লি। কম্পনের তীব্রতায় ভয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন দিল্লির বহু মানুষ।
সকলের চোখেমুখেই ছিল আতঙ্ক। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। যদিও এই কম্পনের জেরে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। সোমবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলে।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দিল্লিতে এদিন ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে চার। কিন্তু তার তুলনায় কম্পনের অনুভব অনেক বেশি হয়েছে। এর মূল কারণ, মাটির নিচে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এই ভূমিকম্প হয়েছে।
এছাড়া কম্পনের উৎসস্থলও ছিল দিল্লিতেই। যার ফলে কম্পনের মাত্রা খুব বেশি না হলেও তার অনুভব হয়েছে অনেক বেশি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। দুর্গাবাঈ দেশমুখ কলেজের ঠিক নিচে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গেছে। মাটি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার নিচে কম্পনের উৎসস্থল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ওই জায়গা এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। ঘটনাস্থলের কাছে একটি জলাভূমি আছে। সেখানে মাঝে মাঝেই কম্পন হয়। ২০১৫ সালে শেষবার সেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল।
এদিকে এদিন ভোরে কার্যত এক তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙে দিল্লিবাসীর। ভোর পাঁচটা ৩৬ মিনিটে কম্পন হয়। প্রায় সাথে সাথেই ভয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন আফটার শকে আবারও কম্পন হতে পারে।
মূলত ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফটার শক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।”
প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী দিল্লি এমনিতেই কম্পনপ্রবণ অঞ্চল। প্রতিবছরই এখানে কম-বেশি ভূমিকম্প হয়। নেপাল থেকে হিমালয়ের পাদদেশ ধরে যে কম্পনপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে, দিল্লি তার ভেতরেই পড়ে। যেকারণে দিল্লিতে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়।