আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
মধ্যপ্রাচ্যে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সফরের সময় এ কথা বলেছেন তিনি। সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে করা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে কথোপকথনের জন্য ওয়াশিংটন সফরে গেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সুদানি বলেন, ‘সংঘাতের সম্প্রসারণ রোধে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছি। বিশেষ করে সর্বশেষ সংঘাতের বিষয়ে।’ এই বৈঠকটি এমন সময় এলো যখন ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ায় কড়া জবাব দেওয়ার কথা জানাল মার্কিন মিত্র ইসরায়েল। এই সংঘাতের বিষয়ে সংযমের আহ্বান জানাতেই এই সফর।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়েরই মিত্র দেশ ইরাক। সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের ওপর ইরানের করা নজিরবিহীন ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রধান রুটই ছিল ইরাকি আকাশসীমা।ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলার আগেই ইরানসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো ইরাককে হামলার বিষয়ে অবগত করেছিল।
ওয়াশিংটন সফরে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুদানি। সোমবার দলটি প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনসহ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছে।ওই বৈঠকে সুদানি বলেছেন, ‘অংশীদারিত্বের চেতনার ভিত্তিতে এই অঞ্চলে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে আমাদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক আইন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং তার সুরক্ষার দায়িত্ব ও যুদ্ধের আইন সম্পর্কে আমরা অবশ্যই একমত।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে যে কোনও প্রকার দমন-পীড়নকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। একইসঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতিকে উৎসাহিত করি।।’