মনোনয়ন ফরম নেননি রওশন-রাঙ্গা

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় পার্টিতে দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের এ দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এবার মনোনয়ন ফরম বিতরণ আর গ্রহণ নিয়ে সে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলটির মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিন ছিল আজ। বনানীতে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কার্যালয় থেকে দেওয়া হচ্ছে ফরম। এবার দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নেতাও জিএম কাদের। চারদিন ধরে দলটির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ১ হাজার ৭৩৭ জন। তবে চতুর্থ দিন শেষেও মনোনয়ন ফরম নেননি বেগম রওশন এরশাদ এবং দলে তার অন্যতম সহচর মসিউর রহমান রাঙ্গা।
এমন পরিস্থিতিতে দলটি মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় বাড়িয়েছে আরও একদিন। আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) থেকে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৭৩৭টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। মনোনয়ন ফরম বিক্রির চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দলটি বিতরণ করেছে ২২৭টি ফরম। গত ২০ নভেম্বর দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে।
প্রথম দিন ৫৫৭টি, ২১ নভেম্বর ৬২২টি ও ২২ নভেম্বর ৩৩১টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করে জাপা।
দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিন ছিল আজ। তবে তা আরও একদিন অর্থাৎ আগামীকাল (২৪ নভেম্বর) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ মনোনয়ন ফরম নেননি।
জাপা নেতারা জানান, ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ২৪ নভেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, ২৫ নভেম্বর খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ, ২৬ নভেম্বর ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে সাক্ষাৎকার।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ ইসিতে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি দেন।
সেদিন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচন করবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেন বেগম রওশন এরশাদ।
চিঠিতে রওশন এরশাদ জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা হবে শুধু নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।
একই দিন সিইসিকে লেখা আরেকটি চিঠিতে জাতীয় পার্টির ভোটে আসার বিষয়টি জানানো হয়েছে। দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সই করা চিঠিটি ই-মেইলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে চুন্নু উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।