
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য ফরিদ খান ও তার আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার মাগুরা শহরের পারলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ফরিদ খান শহরের পারলা এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান খানের ছেলে।
সদর থানার ওসি আয়ুব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ বুধবার সকালে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ যৌথ বাহিনী ফরিদ খান ও তার ৮ সহযোগীকে সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় যৌথ বাহিনী ফরিদ খানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১টি চাইনিজ পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি ওয়ান শুটার গান, ৪টি ওয়ান শুটার গানের অ্যামুনেশন, ২৬৪ রাউন্ড অ্যায়ার গানের অ্যামুনেশন, ৭ রাউন্ড ২২ অ্যামুনেশন, পিস্তল অ্যামুনেশন ১ রাউন্ড, চাইনিজ কুরাল ২টি, চাপাতি ৬টি, মদ ২ বোতল এবং নগদ দেড় লাখ টাকাসহ ১১টি মোবাইল ফোন হস্তান্তর করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হচ্ছে ফরিদ হাসান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রেজা, শহরের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা নূহু দারুল হুদা, ভায়না এলাকার কাজী আরিফুল হক, আবালপুর গ্রামের আবদুল জলিল, শ্রীপুর উপজেলার বাখেরা গ্রামের আইনুল হোসাইন, শাহীন শেখ, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইলিয়াছ খান ও ঢাকার আদাবর এলাকার সৈয়দ খায়রল আলম।
ওসি আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী জানতে পারে ফরিদ খান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরের পারলা এলাকায় অবস্থান করছেন। এ সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, মদসহ ফরিদ খান ও তার ৮ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে যৌথ বাহিনী তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করে। তাদের নামে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদ খানের ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পিকুল খান বলেন, ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক, প্রতিপক্ষরা তাদের ফাঁসাতে এমন কাজ করেছে। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে ওটা আমাদের ব্যবসায়িক ফার্ম।