মাঠে ঠাঁই না পেয়ে এলাকায় প্রজেক্টরে দেখছেন আজহারীর মাহফিল

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জায়গা না পেয়ে গ্রামের মোড়ে মোড়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রিয় বক্তার কথা শুনছেন এলাকাবাসী। এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শেখ শফি উদ্দিন কমার্স কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারে পৌঁছেন তিনি। এ সময় তাকে একনজর দেখার জন্য লাখো মানুষের ঢল নামে।

এদিকে মাহফিলকে ঘিরে চারটি মাঠ প্রস্তুত করা হলেও মানুষের পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই মঞ্চের দিকে যেতে পারেনি। ফলে শহর কিংবা গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রজেক্টর (বড় পর্দা) লাগিয়ে দেখছেন জনপ্রিয় বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল।

মাহফিলে ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছে আয়োজক কমিটি। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও মোট পাঁচটি মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাহফিল ঘিরে তৎপর লালমনিরহাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আনসার, পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীসহ রয়েছে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল কর্মী বাহিনী।

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলকে ঘিরে লালমনিরহাটে মুসুল্লিদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ১৭টি শাটল কোচ চালু করেছে রেল বিভাগ। ইতোমধ্যে লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলাজুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বেশিরভাগ মানুষ রাত থেকেই ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা টহল দিচ্ছেন। অনেকেই জায়গা না পেয়ে বাড়িতে চলে আসছেন। তারা নিজ খরচে বাড়িতে প্রজেক্টর (বড় পর্দা) লাগিয়ে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল দেখছেন। এর আগে লালমনিরহাটে এত বড় মাহফিল অনুষ্টিত হয়নি বলে প্রবীণ মানুষরা জানান।

ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের আয়োজনে ঐতিহাসিক এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। যাদের মাঠে জায়গা দিতে পারিনি তাদের কাছে ইসলামিক সোসাইটি পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত ওসি বাদল কুমার বলেন, জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারী হুজুর হেলিকপ্টারে করে লালমনিরহাটে পৌঁছে মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন। নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করছে। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা চাদরে পুরো জেলা শহরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।