মাঠে ফুটবল রাখার প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির প্রথম মিটিং। শনিবার বাফুফে ভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সভার স্থায়িত্ব ছিল সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো। সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইমরুল হাসান এবং দুই সদস্য ছাড়া গতকাল অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে স্ট্যান্ডিং, অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব বণ্টানের সঙ্গে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলকে দেড় কোটি টাকার অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৫ লাখ করে ১৫ সদস্য ৭৫ লাখ, বাকি ৭৫ লাখ সহসভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সভাপতি মিলে দেবেন। আরও অনেক বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটের মধ্যেই সবার উদ্দেশে মাঠে ফুটবল রাখার বার্তা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

গতকাল সমকালের কাছে প্রথম সভা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে বলেছি– কাজ দেখান, মাঠে ফুটবল রাখেন। সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করেন। যাঁর যে দায়িত্ব, কেউ গাফিলতি করবেন না। যতক্ষণ মাঠে রাখতে পারবেন, ততক্ষণ আপনার স্পোর্টস এগোবে।’
অতীত অভিজ্ঞতার কারণে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব তাবিথ যে নেবেন, তা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। এর সঙ্গে ইমার্জেন্সি ও ফাইন্যান্স কমিটির দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। গত মেয়াদে ফাইন্যান্স কমিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইমরুল হাসান। তবে এবারও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এটা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। একাধারে বসুন্ধরা কিংস সভাপতি তিনি, তাই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় অনেকে এটাকে স্বার্থের সংঘাত মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে তাবিথের যুক্তি, ‘লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিছু জিনিসের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হয়। এটা তো ফুটবল। আর ফুটবলের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্তই নিতে হয়। আর কমিটি তো সামনের দিকে বদল করার সুযোগ আছে।’

চার সহসভাপতির মধ্যে ডেভেলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীকে। ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী (হ্যাপি) ইন্টারনাল অডিট কমিটি, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ ঢাকা মেট্রোপলিশ লিগ কমিটি ও মার্কেটিং কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম। এর বাইরে অ্যাডহক কমিটিতেও রাখা হয়েছে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের। তবে আগেরবারের মতো এবারও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাফুফে সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে।
ফাইন্যান্স কমিটির মেয়াদ চার বছর, বাকি সব কমিটির মেয়াদ এক বছরের। বিষয়টি এভাবে পরিষ্কার করেছেন ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ‘এবার আমাদের সিদ্ধান্তই হয়েছে কমিটিগুলো এক বছরের জন্য করব। একটা কারণ হলো পারফরম্যান্স, দ্বিতীয় কারণ হলো– একজন এখন দায়িত্ব নিল, পরবর্তী ব্যক্তিগত কারণে চার বছর দায়িত্ব পালন করাটা তাঁর জন্য অসুবিধা। চার বছরের নয়, আগামী ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা করব আমরা।’

ডেভেলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব পেয়ে খুশি জাহেদী, ‘আমার যে অতীত অভিজ্ঞতা একাডেমি চালানোর, সেই অভিজ্ঞতাগুলো হয়তো আমার কিছুটা কাজে লাগবে। আমি তো একাডেমি থেকে আসা মানুষ। সুতরাং যে কোনো একাডেমির প্রতি আমার একটা সফট কর্ণার থাকবে। পৃষ্ঠপোষকতা অবশ্যই থাকবে। আর এলিট একাডেমি তো ফেডারেশনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সুতরাং এটার প্রতি আলাদা নজর দিতেই হবে।’

অতীতে বাফুফে নির্বাহী কমিটির সদস্য পুরুষ এবং নারী দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। যেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। তাই বাফুফের নতুন নেতৃত্ব চাইছে সেই ধারাটা ভেঙে দিতে। একই সঙ্গে নারী দলের জন্য পুরুষ নয়, নারী ম্যানেজার রাখার চিন্তা তাদের।