মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার আবদুস শুক্কুর কারাগারে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজার সদর উপজেলার রুমালিয়ারছড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার আবদুস শুক্কুরকে (৭৭) কারাগারে পঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। বিষয়টি নিউজ পোস্ট বিডিকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
এর আগে গত ৩ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আবদুস শুক্কুরকে কক্সবাজার সদর উপজেলার রুমালিয়ারছড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর পর স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হলেও গতকাল বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানায় র্যাব-৭। গ্রেফতার আবদুস শুক্কুর কক্সবাজারের মহেশখালী থানার গুলগুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
২০১৫ সালের ২১ মে আবদুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। গত ৩ জুলাই র্যাব-৭ জানতে পারে আবদুস শুক্কুর কক্সবাজার সদরের রুমালিয়ারছড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭।
এদিকে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর ১১ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ৩২তম সাক্ষী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন র্ধায রয়েছে বলে জানান সুলতানা চমন।
মামলর অন্যতম প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৮ জন। এর মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন ৩ জন। এর মধ্যে দুইজন জামিনে এবং একজন এখন কারাগারে। গ্রেফতারের আগেই পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন বাকি আসামিরা। সর্বশেষ মারা গেছেন দুইজন।
তিনি বলেন, এ মামলায় মোট ৩১ সাক্ষী জবানবন্দি পেশ করেছেন। এখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) জেরার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালতে সময় আবেদন করেছিলাম। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আইওর জেরার জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত। রানা দাস গুপ্ত বলেন, পলাতক দুইজন আসামি মারা গেছেন, সেটিও আদালতকে অবগত করেছি আমরা।