মানিকগঞ্জে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম

প্রকাশিত: ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

মানিকগঞ্জ জেলায় মাঠে মাঠে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলি জমিতে দলবেঁধে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে জানা যায়, কৃষকেরা শীত উপেক্ষা করে খুব সকালে একেকটা জমিতে সারিবদ্ধভাবে বসে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। একদল শ্রমিক পেঁয়াজের চারা (হালি) উত্তোলন করে জমিতে কর্মরত শ্রমিকের হাতে তুলে দিচ্ছেন। জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ হতেই সেচ ও সার-ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় মোট ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা আশা করা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষের আশা আছে। সম্পূর্ণ চাষ শেষ হতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। জেলার হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজের চাষ করা হয়।

শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘এবার ৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ ফেলেছিলাম। সেখান থেকে যে চারা উৎপাদিত হয়েছে, তা দিয়ে ৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগাতে পারবো।’

আরও পড়ুন
হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আলনডি গ্রামের মামুন বলেন, ‘এ বছর ৩ একর জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করেছি। চারা ভালো হয়েছে। আশা করি ভালো ফলন পাবো। জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা করে কাজ করা হচ্ছে। একযোগে কাজ শুরু হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে।’
মহাদেবপুরের কৃষক মজলিস মিয়া বলেন, ‘আমরা মানিকগঞ্জের কৃষকেরা অনেক মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগিয়েছি। এই মুড়িকাটা পেঁয়াজে এ বছর লোকসান হবে। পেঁয়াজের দাম না বাড়লে হালি পেঁয়াজেও লোকসান গুনতে হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানিকগঞ্জের মাটি এবং আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। প্রায় মাস হলো কৃষকেরা পেঁয়াজের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু করেছেন। মাঠে পর্যাপ্ত চারা আছে। মাঠ এখন চারা রোপণের উপযুক্ত। কৃষকেরা পুরোদমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। আসলে মূল্য নিয়ন্ত্রণ বা মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সেরকম সংশ্লিষ্টতা নেই।’