মানুষকে স্বস্তি দিতেই পানি ছিটানো-খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) তীব্র গরমে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো ও বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে, এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠান্ডা রাখা হবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এ ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে, পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে।
নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসীর প্রতি আমার তিনটি আহ্বান। এক, আমি ডিএনসিসি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতাদের অনুরোধ করছি আপনারা প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে পানি খাওয়ার জন্য একটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখবেন। সবাই যেন পানি খেতে পারে। দুই, আমরা গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এবছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাব। এ গাছগুলো লালন-পালনের জন্য আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। সিটি কর্পোরেশন পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোর যতœ নেবেন। তিন, এবছর ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এডিস মশার সিজন শুরু হচ্ছে। সবাই যার যার বাড়ি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশপাশ পরিষ্কার রাখবেন, যেন এডিসের লার্ভা না জন্মায়।
ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার মিতা প্রমুখ।