জামালপুর প্রতিনিধি:
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হকের দায়ের করা মামলা হয়রানিমূলক উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে হয়রানি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন তারা। গতকাল সোমবার বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সর্বস্তরের জনগণ ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সরকার রাসেল। পরে বকশীগঞ্জ-জামালপুর সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। বক্তারা জানান, মামলার পর গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চরকাউরিয়া সীমার পাড়ের রিকশাচালক জুয়েল মিয়া ওরফে রজব আলী মারা যান। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসমা লাবণীর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে রজব আলীর স্বজনরা আসমাকে লাঞ্ছিত করে। পরে ২৯ অক্টোবর আটজনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় রফিকুল ইসলাম, এ কে এম নূর আলম নয়ন ও মারুফ নামে তিন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ইতোমধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযান চলছে চরকাউরিয়া সীমার পাড় গ্রামে। এতে ভয়ে গ্রাম পুরুষশূন্য হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, অনেক নারীও পলাতক রয়েছেন। অনেকের বাড়ি তালাবদ্ধ। এ পরিস্থিতিতে মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে সোমবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আট আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন জামিনে আছেন। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। তবে নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার হবে না। পুলিশ সতর্ক আছে।