সাইফুল ইসলাম :
কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রবিবার (২৮ জুলাই) ডিবি অফিসে বসে সব কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান ছয় সমন্বয়ক। তবে ‘জোর করে এই ঘোষণা আদায় করা হয়েছে’ দাবি করেন আন্দোলনের অন্য সমন্বয়কারীরা। কর্মসূচি চলমান রাখা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা। সোমবার (২৯ জুলাই) সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলেও কখন তা শুরু হবে তা উল্লেখ করা হয়নি ঘোষণায়।
সোমবার সকাল থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনকারী জড়ো হওয়ার খবর প্রচার হতে থাকে। সেখানে পুরনো ছবি ব্যবহার করে বাসা থেকে রাজপথে আসার আহ্বান জানানো হয়। এর মধ্যে মিরপুর বিশাল জনসমাগম হয়েছে– এমন ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মিরপুর ১০, ১১, ২, কাজীপাড়া ও এর আশপাশ এলাকায় কোনও আন্দোলনকারী নেই। কেউ সমাবেশের চেষ্টাও করছে না। মিরপুরে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মার্কেটগুলো খোলা। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মতিঝিল থেকে থেকে মিরপুর ১২ রুটের বাস চালকদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, পল্টন ছাড়া রাস্তার আর কোথাও কোনও আন্দোলনকারী তারা দেখেননি।
ইসিবি চত্বরে আটক
মিরপুরের ইসিবি চত্বরে একটি দল জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও তারা পরবর্তীতে সরে যায়। আশপাশ এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে আটক করতে দেখা গেছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। পুলিশ বিভিন্ন গলিতে টহল দিচ্ছে। টহলরত এক পুলিশ অফিসার বলেন, আমরা দেখার চেষ্টা করছি কোনও নাশকতাকারী ও দুস্কৃতিকারী সমবেত হওয়ার চেষ্টা করে কিনা। কাউকে আটক করিনি। তবে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশ সব সময় জনমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোনও ধরনের নাশকতা ও জনবিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।