মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পুলিশলাইনের গাঁদা ফুলের বাহারি সৌন্দর্য

প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর

চারদিক সাজানো গোছানো। মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে ভেতরের ঢোকার রাস্তা, যেখানে চোখ যায় সেখানেই চোখ আটকে যায় গাঁদা ফুলের বাহারি রঙের সৌন্দর্যে। রঙ-রূপের এমন বৈচিত্র্যে রঙিন হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের পুরো পুলিশ লাইন চত্বর। লাইনের বাইরে ও ভেতরে ফুলের এমন সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলে পুলিশলাইন জুড়ে নানা জাতের গাঁদা ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়। এবছরও জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম সৌন্দর্যবর্ধনে যশোর থেকে ৩ প্রজাতির হাইব্রিড জাতের ২ হাজার গাঁদা ফুলের চারা এনে রোপণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে লাল, কমলা ও হলুদ গাঁদা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের গাছগুলোতে ফুলের আকার বড় ও বেশি ফুল ধরায় সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশলাইনের প্রধান ফটক, ড্রিলশেড ও রাস্তার দু’পাশ জুড়ে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের বাহারি এ গাঁদা ফুল। অনেককে পুলিশলাইনের সামনে দাঁড়িয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা গেছে।

সৈকত নামের এক পথচারী বলেন, একসঙ্গে এতো সুন্দর গাঁদাফুল এর আগে দেখা হয়নি। বাসাবাড়িতে টবে কিছু গাছ লাগানো হয়, তবে এখানকার ফুলগুলো বেশ বড়। জানতে পারলাম পুলিশ সুপার নাকি এতো সুন্দর ফুলগাছগুলো লাগিয়েছে। সত্যি বলতে ফুলের প্রতি ভালোলাগা সবারই আছে, তবে বাগান করার মানসিকতা সবার থাকে না। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

ঘুরতে আসা কলেজশিক্ষার্থী সিনথিয়া হক বলেন, আমাদের কলেজ কাছাকাছি হওয়ায় সময় পেলে এখানে চলে আসি। বাইরে বসার জন্য বেঞ্চ পাতানো আছে। এতো সুন্দর ফুলের বাগান করা হয়েছে যে কারো ইচ্ছে হবে এখানে আসতে, ছবি তুলতে। আমরা চাই প্রতিবছর যেন এমন সুন্দর ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়।

গাঁদা ফুলের বাগান করার বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম নিউজ পোস্ট বিডিকে  বলেন, শরীয়তপুর পুলিশলাইন অত্যন্ত সুসজ্জিত। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি পুলিশলাইন এটি। আমরা এর ম্যানেজমেন্টের দিকে সব সময় অনেক বেশি গুরুত্ব দিই। আমরা প্রতিবছরের মতো এবছরও পুরো পুলিশলাইন জুড়ে গাঁদা ফুলের বাগান করেছি। যা আমাদের পুলিশলাইনের শোভাবর্ধন করছে। আমরা নিয়মিত ফুলগুলোকে পরিচর্যা করে থাকি। বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণপিপাসুরা এখানে আসেন, সুন্দর ফুলগুলোর সঙ্গে সময় কাটান, ছবি তোলেন।