মুচকি হাসলেন জিয়াউল, মাথা নিচু করে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন মামুন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অপরদিকে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়েছে।এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আট কর্মকর্তা হলেন– সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই আট কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন।শুনানি শেষে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে। এরমধ্যে আদালতের হাজত (গারদ) থেকে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান হাসতে থাকেন। তবে কোন কথা বলেননি। আর মাথা নিচু করে দ্রুতপায়ে হেঁটে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালতে হাজির করা থেকে শুরু করে শুনানি চলাকালেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন জিয়াউল আহসান। শুনানি চলাকালে তাকে আশপাশের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গেছে। আর হাজত থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি মুচকি হেসেছেন। তবে কোনো কথা বলেননি। আর পুরো সময়জুড়ে গম্ভীরমুখে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। দুপুরে হাজত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় তিনি মাথা নিচু করে দ্রুত হেঁটে চলে যান।
একইসঙ্গে অন্যান্য সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদেরও অনেকটা বিমর্ষ অবস্থায় এবং গম্ভীর মুখেই প্রিয়জন ভ্যানে ওঠতে দেখা গেছে।