ডেস্ক রিপোর্ট:
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকে মুড়ি খান। আবার বিকেলের নাশতায়ও বেছে নেন মুড়ি। সঙ্গে থাকে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ও পাকোড়া। বেশি বেশি মুড়ি খাওয়া কি সত্যিই ভালো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মুড়ি খাওয়া ভালো। নিয়মিত মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটি কমে। পেটের সমস্যায় মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়। মুড়ি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। মুড়ি চিবিয়ে খেতে হয়। এজন্য নিয়মিত এ খাবার খেলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে। মুড়িতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের শর্করা, যা প্রতিদিনের কাজে শক্তির যোগান দেয়। বাসায় কিংবা অফিসে হালকা ক্ষুধা লাগলে মুড়ি খেতে পারেন।
মুড়ি খাওয়া ভালো হলেও একসঙ্গে বেশি পরিমাণে মুড়ি খাওয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীরে বাসা বাধে একাধিক সমস্যা। এমনকি বাড়তে পারে ওজনও।
বেশি মুড়ি খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে
পেটের সমস্যা
এমনিতে মুড়ি খুব হালকা খাবার। তাই গ্যাস-অ্যাসিডিটি হলে মুড়ি খেলে সমস্যা কমে। তবে উপকারী এ খাবার অত্যধিক পরিমাণে খেলে পেটের বারোটা বাজতে পারে। এমনকি অন্ত্রে তৈরি হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস। তাই গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত বেশি মুড়ি খাওয়া যাবে না।
মিলবে না পুষ্টি
বিশেষজ্ঞদের কথায়, মুড়িতে তেমন কোনো পুষ্টি উপাদান নেই। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এতে কমে যেতে পারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে মুড়ি খাওয়া কমাতে হবে। এর পরিবর্তে খেতে পারেন ওটস বা রুটির মতো খাবার।
অ্যালার্জি
মুড়ি তৈরিতে কিছু রাসায়নিক মেশানো হয়। আর এসব উপাদান শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে একাধিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। এমনকি পিছু নিতে পারে অ্যালার্জির মতো সমস্যাও। তাই সুস্থ থাকতে সারাদিন বেশি পরিমাণে মুড়ি খাওয়া যাবে না।
বাড়তে পারে ওজন
মুড়ির ক্যালোরি ভ্যালু কম। তবে মুড়ির সঙ্গে চানাচুর, চপ, পাকোড়া, বেগুনি মেখে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এর ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটাই বেড়ে যায়। তেলে ভাজা খাবার নিয়মিত খেলে ওজন বাড়বে বৈকি। তাই প্রতিদিন মুড়ি মাখা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। তার পরিবর্তে শুধু মুড়ি খান।
অল্প পরিমাণে খান
বিশেষজ্ঞদের কথায়, টিফিনে মুড়ি খেলে উপকার পাবেন। তাই প্রতিদিন মুড়ি খান। তবে খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে দিনে ১ বাটির বেশি মুড়ি খাওয়া উচিত হবে না। আর ডায়াবিটিসের রোগীরা মুড়ি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।