ক্রীড়া ডেস্কঃ
লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে এসেছেন তিন বছর আগে। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে পাড়ি জমিয়েছিলেন প্যারিসে। সেখানে দুই বছর পার করে থিতু হয়েছেন মায়ামিতে। তবে মেসি এখনো বার্সেলোনার। কাতালুনিয়ান ক্লাবটির ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড় তো আর্জেন্টাইন অধিনায়কই। মেসি যেখানেই থাকুন না কেন, আদতে তিনি পুরোদস্তুর বার্সেলোনার ঘরের ছেলে।
অথচ নিজেদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেই ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়কেই ফিফার বর্ষসেরার জন্য ভোট দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক হিসেবে ফিফার বর্ষসেরার মনোনয়নে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসিকে নিজের প্রথম ভোট দিয়েছিলেন তিনি। একই কাজ করেছিলেন উরুগুয়ের অধিনায়ক ফেদে ভালভার্দে। মদ্রিচ এরইমাঝে রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তিদের একজন। ভালভার্দেকে মাদ্রিদ সমর্থকরা বিবেচনা করেন নিজেদের ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে।
তবে এই দুজনকেই এবার সাইবার আক্রমণ করছে রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তরা। লিওনেল মেসিকে ভোট দেওয়ার কারণে মাদ্রিদের সমর্থকরা চটেছেন তাদের উপর। ইন্সটাগ্রামে মদ্রিচের ছবিতে অনেকেই কমেন্ট করেছেন জবাব চেয়ে। অন্যদিকে অনেকেই বলেছেন তাকে মাদ্রিদ থেকেই সরে যেতে। অনেকেই সামনে এনেছেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মেসির কাছে হারের কথাও।
অবশ্য শুধু মদ্রিচই না, আরও অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকেও সেরার ভোট পেয়েছেন লিওনেল মেদি। ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেও প্রথম ভোট দিয়েছেন মেসিকে। এমবাপে নিজেও ছিলেন সেরা তিনে। তবে নিজেকে ভোট না দিয়ে তিনি শুরুতে রেখেছেন এলএমটেনকে। দুইয়ে রেখেছেন আর্লিং হালান্ডকে। আর তিনে রেখেছেন কেভিন ডি ব্রুইনাকে।
নেদারল্যান্ডস বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনার কাছে। সেই দলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকও প্রথম ভোট দিয়েছেন মেসিকে। আবার রিয়াল মাদ্রিদে থাকা উরুগুয়ে অধিনায়ক ফেডে ভালভার্দেও নিজের ভোট দিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে।
কোচদের মধ্যে ব্রাজিলের কোচ দিনিজের সমর্থন দিয়েছেন মেসিকে। উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসার ভোটও পেয়েছেন মেসি। সব হিসেব মিলিয়ে জুরি বোর্ডের গণনায় দুজনেই পেয়েছেন সমান ৪৮ পয়েন্ট। তবু শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার ১ম স্থান দখল করায় ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার পেয়েছেন মেসিই।