মে মাসেও থাকতে পারে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৪

আফরিন আক্তারঃ

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে পুরো দেশ। চলমান তাপপ্রবাহ আগামী মাস জুড়েও বিরাজমান থাকবে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আবহাওয়া অফিস গত ৩ এপ্রিল হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকায় এই হিট অ্যালার্ট আরও বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কারণ মাসের শেষদিকে কিছু অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে দেশের তাপমাত্রা সামান্য ওঠানামা করতে পারে।তিনি আরও বলেন, যদি উত্তর-পশ্চিমের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় তাহলে দেশের কিছু অংশে খুব অল্প সময়ের জন্য তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমতে পারে। তবে, গ্রীষ্মের মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকায় বাংলাদেশে চরম তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।ঢাকার হাসপাতালগুলোতে সারাদেশ থেকে রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজুম্মন মিলন চরম তাপপ্রবাহকে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহ এবং বন্যা, অতিবৃষ্টি এবং চরম ঠান্ডা আবহাওয়াসহ অস্বাভাবিক অন্যান্য দুর্যোগের ঘটনা ঘটায়।

সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অঞ্চলভেদে সামান্য হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।