ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের বিচার শুরু

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে বুয়েনস আয়ার্সে বহুল প্রতীক্ষিত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রসিকিউটরদের দাবি, ম্যারাডোনার মৃত্যু এড়ানো সম্ভব ছিল, কিন্তু চিকিৎসকেরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি।

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, ৬০ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান ম্যারাডোনা। এর আগে, সেই মাসের শুরুতে তিনি মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছিলেন।

অউঠঊজঞওঝঊগঊঘঞ
ঞবপয ংঃড়পশ ারফবড় ৩ ৫ঋবন২৫ঞবপয ংঃড়পশ ারফবড় ৩ ৫ঋবন২৫
প্রসিকিউটররা বলছেন, তার অবস্থার গুরুতরতা জানা সত্ত্বেও চিকিৎসকেরা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। অপরদিকে, আসামিপক্ষের যুক্তি, ম্যারাডোনা অতিরিক্ত চিকিৎসা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এবং অস্ত্রোপচারের পর আরও দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন ছিল।

প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের আট থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রমাণ করতে চান যে ম্যারাডোনার মৃত্যুর সময় চিকিৎসকেরা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।

প্রসিকিউটর প্যাট্রিসিও ফেরারি আদালতে বলেন, ‘আজ ডিয়েগো ম্যারাডোনা, তার পরিবার ও আর্জেন্টিনার জনগণ ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রাখে।’

তদন্তকারীদের মতে, ‘এটি অনিচ্ছাকৃত হত্যার শামিল’। তারা মনে করেন, অভিযুক্তরা জানতেন ম্যারাডোনার শারীরিক অবস্থা কতটা গুরুতর, তবু তাকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি।

বিচারের আওতায় আনা চিকিৎসক ও মেডিকেল কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন, এক নিউরোসার্জন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী, মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, নার্সিং কো-অর্ডিনেটর, চিকিৎসক এবং এক নাইট নার্স।

এক নাইট নার্স স্বীকার করেছেন যে তিনি সতর্কতার লক্ষণ দেখেছিলেন, তবে ম্যারাডোনাকে না জাগানোর নির্দেশ ছিল।

এই বিচার প্রক্রিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিচারকার্য জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে।

ডিয়েগো ম্যারাডোনা সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচিত। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল করে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়ার্ধে, তিনি কোকেন আসক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং ১৯৯১ সালে ড্রাগ পরীক্ষায় পজিটিভ আসায় ১৫ মাস নিষিদ্ধ হন।

তার মৃত্যু বিশ্ব ফুটবলকে শোকে ভাসিয়ে দেয়। বুয়েনস আয়ার্সের রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে হাজার হাজার মানুষ তার কফিনের সামনে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন।