যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় ডেঙ্গু রোগে মৃত্যুহার বেশি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক
কলাবাগানে কমিউনিটি সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস
যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার বেশি বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর কলাবাগানে কমিউনিটি সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, কিউলেক্স মশা একটু বেড়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা আশাবাদী, যেভাবে আমরা ভরা মৌসুমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি, এখন মৌসুম শেষ পর্যায়ে একটু বাড়লেও আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। এজন্য যেসব এলাকায় মশা বেড়েছে সেসব এলাকা আমরা চিহ্নিত করেছি। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকলে মশা বাড়ে। আমরা আশাবাদী যে এটাকে আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
জনপ্রতিনিধিরা যে দায়িত্ব পালন করছেন তা নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট কি না এবং মশককর্মীরা ঠিক মতো কাজ করছেন বলে আপনার মনে হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে মশককর্মীরা সকালে লার্ভা ধ্বংশ করছেন, আবার বিকেলে ফগিং করছেন। আমাদের যন্ত্রপাতি, কীটনাশক সবই পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। সুতরাং এখানে ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই। তবে মৌসুম শেষে পানি যেহেতু আবদ্ধ হয়ে যায়, তাই প্রজনন অনেক বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে আমরা উইলব্যারো যন্ত্র নিয়ে আমাদের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করছি। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি কোন জায়গায় বেশি প্রজনন হচ্ছে। সেসব জায়গায় আরও ব্যাপক কার্যক্রম নিচ্ছি। আমরা আশাবাদী এর সুফল কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকাবাসী পাবে।
ডেঙ্গু নিয়ে একটা সতর্ক বার্তা দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটি, আপনার কী মনে হয়? এবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গতকালও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে এ বিষয়ে। যে বিষয়টা সবচেয়ে কষ্টকর সেটা হচ্ছে গত বছর আমরা লক্ষ্য করেছি যে মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমরা বলেছি স্বাস্থ্য অধিতপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবাটাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে। কিছু বিষয় আমরা গত বছর লক্ষ্য করেছি অনেক রোগীকে প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হয়েছে আপনাদের হাসপাতালে ভর্তি না হলেও চলবে। আপনারা বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করেন। পরবর্তীতে দেখা গেছে ওই রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। পরে যখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন তখন তাকে সেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায়নি। এসব বিষয় আমরা তুলে ধরেছি। এডিস মশার প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, এটা বিশ্বব্যাপী।