যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে অস্থিরতা

মার্কিন কৃষিপণ্যে শুল্ক বসাল চীন

প্রকাশিত: ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ফলে অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। রোববার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মন্দা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী না করলেও শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে স্বীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির ফেডারেল রিজার্ভ, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মনে করেন, তাঁর নীতি শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের উপকারে আসবে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, শুল্কের অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এ ছাড়া চীন তাদের কৃষিপণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে, যা মার্কিন কৃষকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে চীন। দেশটি মুরগি, গম ও ভুট্টার ওপর ১৫ শতাংশ এবং সয়াবিন, গরুর মাংস, শূকরের মাংস ও ফলের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বসিয়েছে। তবে আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে আমদানি হওয়া পণ্য নতুন শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনায় উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করলেও সরকারি বিবৃতিতে আলোচনা চালানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন দেশ ও কাঁচামালের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক বাড়ানোর কারণে খরচ বাড়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে উল্টো চিত্রও আছে। শুল্ক বাড়ানোয় খুশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, নতুন করে বাড়ানো শুল্কের কারণে কানাডার সস্তা ইস্পাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনামূলক দামি ইস্পাতশিল্পের প্রতিযোগিতা করা সহজ হবে।

প্রথমে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করলেও বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার কারণে তা শিথিল করেছেন ট্রাম্প। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, অর্থনৈতিক নীতিতে তাঁর অনিশ্চিত অবস্থান প্রশাসনের ভেতরেই বিরোধিতা তৈরি করেছে। এ ছাড়া সরকারি ব্যয় সংকোচনের পরিকল্পনায়ও পরিবর্তন এনেছেন ট্রাম্প।