যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা-গ্রিনকার্ডের আবেদন বাতিল হতে পারে যে কারণে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

ডেস্ক রিপোর্ট:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদিবিদ্বেষী কোনো লেখা/কন্টেন্ট পোস্ট কিংবা শেয়ার করলে বাতিল হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা অথবা স্থায়ী বসবাসের অনুমোদনপত্র গ্রিনকার্ডের আবেদন। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (ইউএসসিআইএস)।
বুধবারের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’র অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই প্রতিষ্ঠানটির নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। শিক্ষার্থী ভিসা কিংবা গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদনকারীদের কারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে যদি ইহুদি বিরোধী বা বিদ্বেষপূর্ণ কোনো লেখা বা কন্টেন্ট পাওয়া যায়, তাহলে অবিলম্বে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে।
এছাড়া ফিলিস্তিনভিত্তিক হামাস, প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ যেসব গোষ্ঠী ও সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র—সেসব গোষ্ঠীকে সমর্থন, প্রচার-প্রচারণা ও অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ যেসব আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে প্রোফাইলে পাওয়া যাবে, তাদের আবেদনও বাতিল করা হবে।
আপাতত শিক্ষার্থ ভিসা ও গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদনকারীদের ওপর এই সিদ্ধান্ত প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসসিআইএস।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ট্রিসিয়া ম্যাকলগলিন এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “যারা সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জন্য কোনো জায়গা নেই। ফলে তাদেরকে এই দেশে থাকতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধ্যকতাও আমাদের নেই।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, “কেউ যদি ভেবে থাকে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এসে ইহুদিবিদ্বেষ এবং সন্ত্রাসবাদকে এগিয়ে নেবে— তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের পরিষ্কার বার্তা হলো, আরেকবার ভেবে দেখুন। এমন করলে আমরা আপনাকে স্বাগত জানব না।”
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর থেকে অভিবাসী ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে প্রতিদিনই ভিসা বাতিল হচ্ছে এবং গত মাসে ৩০০ জন অভিবাসীর ভিসা বাতিল হয়েছে।