যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। আমি সংখ্যায় বলছি না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ পাহারায় নিয়োজিত আছে। আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আইডিইবির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের দুই দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সড়কে চারটি দেশকে স্পেশাল সিকিউরিটি (এসকর্ট) দিয়ে আসছিলাম। যখন তারা বাইরে যেতেন আমরা গাড়ির একটা প্রটেকশান দিতাম। কিছু মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেমন সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ি থাকে, এমন চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে চলাচলের সময় সে ধরনের প্রটেকশন দিতাম।
তিনি বলেন, আমরা সে রাস্তার প্রটেকশনে পুলিশের পরিবর্তে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) নিয়োগ করেছিলাম। যারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম এবং সেনাবাহিনী থেকে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আমরা চেয়েছি রাস্তায় চলাচলের নিরাপত্তায় এজিবি থাকবে এবং একজন পুলিশ কমান্ডার থাকবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে এটি দেওয়া হয়েছে সেটি তারা মেনে নিয়েছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্র একটু আপত্তি জানিয়েছে। এরপরও তারা মনে করলে এটা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কথা বলবো, চিন্তা করবো।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। খালেদা জিয়াকে আইন মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী দণ্ডাদেশ স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যাতে তিনি উন্নত চিকিৎসা পান।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে নিতে তার ভাই আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখানে আইনি জটিলতা রয়েছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু করতে হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থায় যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও গতকাল এটা নিয়ে ব্রিফ করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই না, আমরা আলোকিত বাংলাদেশে থাকতে চাই। অন্ধকারাচ্ছন্ন আর না খেয়ে থাকার বাংলাদেশকেও আপনারা দেখেছেন। আজ সারাদেশ মনে করে তারা আর অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে না। আপনাদের কাছে আহ্বান সেটিই। আপনারা এ ধারা অব্যাহত রাখবেন। আপনাদের মাধ্যমে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই।