সেলিনা আক্তার:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দেশটির বিনিয়োগকারীরা জ্বালানি, কৃষি ও সেবা খাতসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। এজন্য তারা বেশকিছু সুযোগ সুবিধা চেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সফররত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও এক্সেলারেট এনার্জির সিইও স্টিভ কোবস ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের চারটি বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্প খাতের প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশেষ করে জ্বালানি, বিমা, কৃষি এবং অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তা। তারা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত আদর্শ জায়গা। এখানে বিনিয়োগ করে কোনো বিদেশি কোনো দিন ক্ষতির মুখে পড়েনি।
তিনি বলেন, তারা কর রেয়াতসহ বেশকিছু সুযোগ চেয়েছে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা নতুন বিনিয়োগকারীরাও পাবেন। এসব সুযোগের বাইরে যদি কোনো বিষয় থাকে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। চিরদিন আমদানিনির্ভর হয়ে থাকলে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করা যাবে না। এ কারণে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আমরা এগুতে চাই। এতে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলেই অর্থনীতি একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, অনেকেই বলেন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। যারা এ কথা বলেন তারা ঠিক বলেন না। করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে যখন বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চিয়তার মধ্যে নিমজ্জিত, অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে।
দেশে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী বলবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন কত ছিল মূল্যস্ফীতি, ১২ দশমিক ৩ ছিল শতাংশ। সেখান থেকে এক মাস আমাদের ৯ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হচ্ছে। এই দূরবস্থার মাঝেও মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। দাম তো বাড়ছে? কারণ যুদ্ধ যে শুরু হয়েছে সেটা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন আপনি অর্থনীতির হিসাব সময়মতো চালাবেন। তারপরও অনেক ভালো চলছে। সবাই বলে বাংলাদেশ সবার থেকে ভালো চলছে।