নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২২১ জন কর্মকর্তা। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থেকে এ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে থাকা ৬ জন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে নতুন যুগ্ম সচিবদের পদায়ন করে আদেশ জারি করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের যোগদানপত্র ই-মেইল : sa1@ mopa.gov.bd এ প্রেরণ করবেন।
স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্ম সচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে। এর ওপর নতুন করে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশির ভাগ যুগ্ম সচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্থানে) থাকতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন যুগ্ম সচিবের মোট স্থায়ী পদ ৫০২টি। এর বিপরীতে পদোন্নতি পাওয়ার পর যুগ্ম সচিবের সংখ্যা হলো ৯৪৬ জন। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২ নভেম্বর ১৭৫ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
এবার যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল ২২তম ব্যাচ। বিবেচনায় এসেছেন এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিতরাও। এত সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির পরও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিদেশে থাকা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ২৪ মার্চের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার প্রেষণ পদের বেতনস্কেল উন্নীত করে আদেশ জারি করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। আদেশ জারির পর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদান করে যোগদানপত্র নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদানের তারিখ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদের বেতন-ভাতা পাবেন। তবে বৈদেশিক ভাতা এবং এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালাউন্সের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা মিশনের নির্ধারিত হার প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হওয়ার আগ পর্যন্ত উন্নীত বেতনস্কেল বহাল থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’-এ বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে কমপক্ষে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা উপ-সচিব পদে কমপক্ষে ৩ বছর চাকরিসহ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।