যুবদল কর্মী হত্যা মামলায় ডিবির সাবেক এসআই রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদকে গুলি করে হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কনককে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে নেওয়া হলে নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান। তিনি বলেন, মাহফুজুর রহমান কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে একটি র‍্যালি ছিল। সেই র‍্যালিতে মাহফুজুর রহমান কনক মরণঘাতি অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। তার গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন আহম্মেদ নিহত হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ওই যুবদল কর্মীর ভাইয়ের করা একটি মামলায় মাহফুজুর রহমান কনককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আশা করছি এই রিমান্ডে অনেক তথ্য পুলিশ উদ্ধার করতে পারবে।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাতে শাওন হত্যা মামলার ১৬ নং এজাহারনামীয় আসামি ডিবির সাবেক এসআই মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে বর্তমান কর্মস্থল ঢাকার ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা ‘চাইনিজ রাইফেল’ থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনার ২ বছর পরে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর নিহত শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে।