যে কারনে তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা পেছালো

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৭ আগস্টের পরিবর্তে আগামী ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষাও পিছিয়ে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে গত সপ্তাহে তিনদিন ওইসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।

আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।

তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৩ এর ১৭ আগস্টের পরিবর্তে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে। তবে অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা যথারীতি আগামী ১৭ আগস্ট থেকে আগের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৮ আগস্ট চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সারাদেশে পরীক্ষা বন্ধ বা স্থগিত হবে না। যেসব জেলা বা অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে কেবল সেসব জেলা বা যে বোর্ডের অধীনে সেই শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হবে।

এর আগে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ ৫ শিক্ষা বোর্ডের তিনটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আগের সূচির পরীক্ষা শেষে এসব পরীক্ষা নেওয়া হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে কারিগরি ও মাদ্রাসার পরীক্ষা নিয়ে থাকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। তাই দেশের যে কোনো জায়গা পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে এই দুই বোর্ড সারাদেশে পরীক্ষা স্থগিত করে থাকে। তবে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ড নিজস্ব অঞ্চলের পরীক্ষা নেওয়ার কারণে অন্য এলাকার পরীক্ষা স্থগিতের প্রভাব তাদের ওপর পড়ে না।

উল্লেখ, আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। চলতি বছর সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে।