যে কারনে হাসপাতালের কেবিনে অঝোরে কাঁদলেন খালেদা জিয়া
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ফাইল ছবি
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিনে স্বজনদের সঙ্গে কাঁদলেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে, গতকাল রোববার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার ঘনিষ্ঠ স্বজনরা হাসপাতালে যান।
তাদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতি সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম ও নাতনি আরিফা ইসলাম।
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কেবিনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সময় কাটান তারা।
জানা গেছে, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও তার ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান কেবিনে ঢুকেই খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।
এসময় অন্যরাও কাঁদতে শুরু করেন। নাতি-নাতনিদের কান্নায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি খালেদা জিয়া। তার দুই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
এক পর্যায়ে কেবিনে কান্নার রোল ওঠে এবং তা বাইরে থেকেও শোনা যায়। পরে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম তাদের সবাইকে শান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার স্বজনদের একজন গতকাল সন্ধ্যায় একটি জাতীয় দৈনিককে এসব কথা জানিয়েছেন।
কেবিন থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনও গাড়িতে বসে কাঁদতে দেখা যায় সিঁথি ও জাহিয়াকে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয় আরও বেশি অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেলিমা ইসলাম।
তিনি বলেন, তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। তিনি পা ফেলতে পারছে না।
সেলিমা ইসলাম আরও বলেন, সরকার তাকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে তিনি কেমনে বাঁচবেন?
সূত্র যুগান্তর।